শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার সদর উপজেলার ৭নং ভারুয়াখালী ইউনিয়নে সহকারী কাজী পরিচয়ে বাল্য বিবাহ পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুরো ইউনিয়নে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন বিবাহ পড়ানোর নামে উভয় পক্ষ থেকে মোটা অংক নিয়ে সনদ জালিয়াতি বিভিন্ন ছল চাতুরী ও কৌশল অবলম্বন করে এ কর্মকান্ড চালালেও প্রশাসনের নজরে পড়েনি। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলারও সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা। ফলে এ সমস্ত বাল্য বিবাহ ও সনদ জালিয়াতির কারণে বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।
সূত্রে জানা যায়, ঘোনা পাড়া এলাকার মৃত আবু বকর ছিদ্দিকের পুত্র স্থানীয় কালু রওশন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মৌলানা আবদুল হাকিম সিদ্দিকী নামের এক শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ, কাজী না হয়েও মোটা অংকের বিনিময়ে অন্য কাজী দিয়ে বিবাহ পড়ানোসহ বিভিন্ন জালিয়াতি করে আসছে। এমনি একটি ঘটনা বৃহস্পতিবার সকলের মাঝে জানাজানি হলে মোটা অংকের মিশন নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। নিজেই স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার সুপার হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী বাল্য বিবাহের মত বিয়ে পড়িয়ে নিজেকে বড় কাজী পরিচয় দেয়। যদিও বা তার কাজীর নিয়োগপত্র বা কোন লাইসেন্স নেই। এক সময়ের উপজেলার কাজী ইকবালের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিল। এটাকে পূঁজি করে নিজেকে বড় কাজী পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। তথ্য অনুসন্ধানে তার কাজীর কোন নিয়োগ কিংবা রেজিষ্ট্রেশনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, উক্ত মাদ্রাসা সুপার গত ৯মে নিজের প্রতিষ্ঠানে জালালাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাজার এলাকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মোহাম্মদ ওসমানের সাথে ভারুয়াখালীর বড় চৌধুরী পাড়ার ফজল করিমের অপ্রাপ্ত মেয়ে রোকসানার সাথে বাল্য বিবাহ পড়িয়ে দেয়। বরের আইডি কার্ড আইডি নং ২০০১২২১২৪৪৫১০৬৪১৩, জন্ম তারিখ ২০/১/২০০১। তার বাবা রোহিঙ্গা নাগরিক হলেও কৌশলে বাংলাদেশের আইডি কার্ড করিয়েছে। এক্ষেত্রে সে পোকখালী ইউনিয়নের কাজী জাফর আলম ফরাজীর বালাম বই ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাল্য বিয়ের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। এসময় তিনি কাজী জাফর আহমদ ফরাজীর সহকারী কাজী হিসাবে কাজ করছেন বলে জানান। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোন সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: